Wednesday, September 26, 2012
Friday, September 21, 2012
Wednesday, September 19, 2012
ক্যারিয়ার গড়ুন ক্রিয়েটিভ সেক্টরে....
ক্যারিয়ার গড়ুন ক্রিয়েটিভ সেক্টরে....
অনলাইনে উপার্জনের মাধ্যমগুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও চাহিদাপূর্ণ ক্ষেত্র হলো ওয়েব ডিজাইন। ইন্টারনেটের অগ্রগতিতে মূলত বিশ্বের ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্যক্তিগত ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রায় সবাই অনলাইনে নিজেদের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সবাই চাচ্ছে, তার একটি ভার্চুয়াল ঠিকানা হোক। আর এর জন্য প্রয়োজন একটি ওয়েবসাইট। ওয়েব দুনিয়ায় কত শত ওয়েবসাইট, নানান রকম ডিজাইন, আপনি যদি সৃজনশীল হয়ে থাকেন তবে এরকম ওয়েবসাইট আপনিও তৈরি করতে পারেন। গ্রাহকদের ওয়েবসাইট তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকেও প্রচুর আয় রোজগারের সুযোগ রয়েছে। তবে ওয়েব ডিজাইনে ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই আপনাকে রিয়েল ওয়েব ডিজাইনারের কাছ থেকে শিখতে হবে যাঁরা আপনাকে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা নিশ্চিত করতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র এবং উপার্জন
একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ওয়েব ডিজাইনার হিসাবে চাকুরি করার পাশাপাশি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংও করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশী যত ওয়েব ডিজাইনার ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন তাঁদের প্রোফাইল ভিজিট করলেই আপনি দেখবেন কি পরিমাণ অর্থ তাঁরা আয় করছেন। সাধারণত ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইনাররা প্রতি ঘন্টা ১০ থেকে ৩০ ডলার রেটে কাজ করতে পারেন। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন পারেন তাহলে এটি নিশ্চিত রুপে বলা যায় যে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত অনায়াসে আয় করতে পারবেন। শর্ত হচ্ছে, আপনার সাইট তৈরির দক্ষতা হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের।আর দক্ষতা অর্জনে আপনার যত সাহায্য দরকার তা করার জন্য প্রশিক্ষণ জরুরী।
যেখানে প্রশিক্ষণ নিবেন
যারা ওয়েব ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য ঢাকায় ওয়েব ডিজাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ডেভসটিম ইনস্টিটিউট। ৩ মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ওয়েব ডিজাইনের সব বিষয় হাতে কলমে শেখানো হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ডেভসটিম থেকেই ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেওয়া হবে। নির্ধারিত সংখ্যক আসনে আগে আসলে আগে ভিত্তিকে নিবন্ধন করা হবে। নিবন্ধন: ০১৭১১-২৬৭৯১১, ০১৯১১৪৬৪৭১০। বিস্তারিত জানতে পারেন www.devsteam.com ওয়েব ঠিকানা থেকে। সরাসরি আসতে পারেন নিউ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্লান সেন্টারের ১২ তলায় ডেভসটিম লিমিটেড কার্যালয়ে।
যা শেখানো হবে
একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ডিজাইনিং সফটওয়্যার শিখতে হবে। এক্ষেত্রে অ্যাডোবি ফটোশপ সফটওয়্যারের মাধ্যমে যেকোন ওয়েবসাইটের মূল ডিজাইন (পিএসডি) কিভাবে বানাতে হয় তা হাতে কলমে শেখানো হবে। এরপর একটি ডিজাইনকে ব্রাউজারের ভাষায় রুপান্তর করার জন্য এসইচটিএমএল এবং সিএসএস শেখানো হবে। বিভিন্ন ইফেক্ট এবং ডিজাইনকে আরও নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের জন্য শেখানো হবে জাভাস্ক্রিপ্ট এবং জেকোয়েরি।
কম্পিউটার ল্যাবসহ অন্যান্য সুবিধা
ডেভসটিম ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ল্যাবে প্রতিজন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কম্পিউটার, এখান থেকেই একজন শিক্ষার্থী প্র্যাকটিস শুরু করতে পারবেন। আর লেকচারের পাশাপাশি বড় প্রজেক্টরের মাধ্যমে লাইভ কাজ করে দেখানো হয় প্রতিটি ক্লাসে। আর ক্লাশ শেষে প্রতিদিন বিভিন্ন ভিডিও এবং পিডিএফ রিসোর্স সরবরাহ করা হয়। ক্লাশ শেষে ওডেস্ক সহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ করতে হয় সেটিও দেখিয়ে দেয়া হবে। রয়েছে লাইফ টাইম সাপোর্ট।
ওয়েব ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র এবং উপার্জন
একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ওয়েব ডিজাইনার হিসাবে চাকুরি করার পাশাপাশি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিংও করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশী যত ওয়েব ডিজাইনার ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন তাঁদের প্রোফাইল ভিজিট করলেই আপনি দেখবেন কি পরিমাণ অর্থ তাঁরা আয় করছেন। সাধারণত ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইনাররা প্রতি ঘন্টা ১০ থেকে ৩০ ডলার রেটে কাজ করতে পারেন। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন পারেন তাহলে এটি নিশ্চিত রুপে বলা যায় যে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত অনায়াসে আয় করতে পারবেন। শর্ত হচ্ছে, আপনার সাইট তৈরির দক্ষতা হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের।আর দক্ষতা অর্জনে আপনার যত সাহায্য দরকার তা করার জন্য প্রশিক্ষণ জরুরী।
যেখানে প্রশিক্ষণ নিবেন
যারা ওয়েব ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য ঢাকায় ওয়েব ডিজাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ডেভসটিম ইনস্টিটিউট। ৩ মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ওয়েব ডিজাইনের সব বিষয় হাতে কলমে শেখানো হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ডেভসটিম থেকেই ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেওয়া হবে। নির্ধারিত সংখ্যক আসনে আগে আসলে আগে ভিত্তিকে নিবন্ধন করা হবে। নিবন্ধন: ০১৭১১-২৬৭৯১১, ০১৯১১৪৬৪৭১০। বিস্তারিত জানতে পারেন www.devsteam.com ওয়েব ঠিকানা থেকে। সরাসরি আসতে পারেন নিউ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্লান সেন্টারের ১২ তলায় ডেভসটিম লিমিটেড কার্যালয়ে।
যা শেখানো হবে
একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ডিজাইনিং সফটওয়্যার শিখতে হবে। এক্ষেত্রে অ্যাডোবি ফটোশপ সফটওয়্যারের মাধ্যমে যেকোন ওয়েবসাইটের মূল ডিজাইন (পিএসডি) কিভাবে বানাতে হয় তা হাতে কলমে শেখানো হবে। এরপর একটি ডিজাইনকে ব্রাউজারের ভাষায় রুপান্তর করার জন্য এসইচটিএমএল এবং সিএসএস শেখানো হবে। বিভিন্ন ইফেক্ট এবং ডিজাইনকে আরও নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের জন্য শেখানো হবে জাভাস্ক্রিপ্ট এবং জেকোয়েরি।
কম্পিউটার ল্যাবসহ অন্যান্য সুবিধা
ডেভসটিম ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ল্যাবে প্রতিজন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কম্পিউটার, এখান থেকেই একজন শিক্ষার্থী প্র্যাকটিস শুরু করতে পারবেন। আর লেকচারের পাশাপাশি বড় প্রজেক্টরের মাধ্যমে লাইভ কাজ করে দেখানো হয় প্রতিটি ক্লাসে। আর ক্লাশ শেষে প্রতিদিন বিভিন্ন ভিডিও এবং পিডিএফ রিসোর্স সরবরাহ করা হয়। ক্লাশ শেষে ওডেস্ক সহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ করতে হয় সেটিও দেখিয়ে দেয়া হবে। রয়েছে লাইফ টাইম সাপোর্ট।
Monday, September 17, 2012
Sunday, September 9, 2012
Friday, September 7, 2012
আউটসোর্সিং
সেরা তালিকায় বাংলাদেশ:sনুরুন্নবী চৌধুরী | তারিখ: ০৭-০৯-২০১২
সাঈদ ইসলাম, ওডেস্ক প্রকাশিত দক্ষ পেশাজীবীদের তালিকার তিনটি বিভাগে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন
ছবি: খালেদ সরকার
ধীরে ধীরে অনলাইন আউটসোর্সিংয়ের কাজে যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের মুক্ত পেশাজীবীরা (ফ্রিল্যান্সার) এবার নিজেদের দক্ষতার মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছেন শীর্ষ তালিকায়। প্রতিনিয়ত নানা কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের নানান কাজের সঙ্গে যুক্তও করছেন অনেকে। একটা সময় নির্দিষ্ট কিছু কাজের গণ্ডিতে থাকলেও এখন আর সেটি নেই। আউটসোর্সিং কাজের বিভিন্ন খাতে পদচারণ বাড়ছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যন্সারদের এবং সফলতাও আসছে। আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা গ্লোবাল মার্কেট প্লেস ওডেস্ক (www.odesk.com) বিভিন্ন কাজে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা।
ওডেস্ক ও আউটসোর্সিং
আউটসোর্সিং কাজ দেওয়া-নেওয়ার জনপ্রিয় জায়গা হলো ওডেস্ক। বিভিন্ন মার্কেট প্লেসের মধ্যে ওডেস্কের অবস্থান শীর্ষে। ২০০৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। ইন্টারনেটভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান মূলত পেশাজীবী ও কাজদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়। নির্দিষ্ট কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, যার পুরো ব্যাপারই সম্পন্ন হয় অনলাইনে ওডেস্কের ওয়েবসাইটে। এর বাইরে ওয়েবসাইটটি নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন। ‘কনট্রাক্টর অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ নামের এ আয়োজন বাংলাদেশেও হয়েছে।
দক্ষদের তালিকায় বাংলাদেশিরা
সম্প্রতি ওডেস্কের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কাজে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের একটি তালিকা করে। এতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস, লেখালেখিও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহযোগিতা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা, বিক্রয় ও বিপণন এবংব্যবসায় সেবা বিভাগে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনটিতে শীর্ষে সাঈদ ইসলাম
ওডেস্কের প্রকাশিত সেরা দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিষয়ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সারদের তালিকায় গ্লোবালাইজেশন বিভাগের তিনটিতে শীর্ষে আছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার সাঈদ ইসলাম। এর মধ্যে নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের লিনাক্স এবং অ্যাসটারিস্ক ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভিওআইপিতে শীর্ষে আছেন তিনি। ওডেস্কে তিন হাজার ৪০০ ঘণ্টার বেশি কাজ করা সাঈদ ইসলাম ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওডেস্কে কাজ শুরুর পরই এপ্রিল মাসে তিনি ওডেস্কের স্পট লাইট কনট্রাক্টর তালিকায় জায়গা করে নেন। তিনটি বিভাগে শীর্ষে থাকার পাশাপাশি এটুবিলিংয়ে ও ফ্রিপিবিএক্সে দ্বিতীয়, ট্রিক্সবক্স ও জিমব্রাতে পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি। ছোটবেলা থেকে কারিগরি বিষয়ে কৌতূহলী সাঈদ ইসলাম কানাডায় ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য বন্ধুদের দ্বারস্থ হতেন। ২০০১ সালে টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসেবে কম্পিউটার পেশাজীবন শুরু। এর মধ্যে নানা ধরনের কাজের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। যার মধ্যে লিনাক্স, ভিওআইপি ও টেলিফোন বিলিং সিস্টেম অন্যতম। ২০০৩ সালে বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানের পর প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের অনুরোধে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন। যেখানে টিডিএম সুইচ, সিসকো নেটওয়ার্কিং ও অ্যাডভান্স বিলিং শেখেন। সাঈদ ইসলাম বলেন, ‘বিদেশে থাকলেও দেশের প্রতি টান ছি।আমিসহ ছয়জন মিলে২০০৬ সালে ঢাকায় আমরা গড়ে তুলি একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, যা আমি কানাডা থেকে নিয়ন্ত্রণ করতাম। বিক্রয় ও বিপণন হতো কানাডা থেকে। এরপর চলেআসি বাংলাদেশে। ২০০৯ সালে পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কানাডার একটি অনলাইন গেমস প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক হিসেবে কাজ করি বাংলাদেশ থেকেই। দেড় বছরের এ সেবা শেষে প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে কানাডা গিয়ে নিজেদের অফিসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। আমি সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে দেশেই কাজ শুরু করি।’
২০১০ সালে ওডেস্কে যোগ দেন সাঈদ ইসলাম। এর মাঝে বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল থেকে সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরির সুযোগ পান তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ সুযোগ পাওয়ার পর দেশের পাশাপাশি ভারতে কাজ করার সুযোগ চেয়ে জানতে পারি, সেখানে গুগলের এ অফিস কার্যক্রম নেই। তাই আমার আর এ পদে যোগ দেওয়া হয়নি।’
মুক্ত সোর্স প্রযুক্তিকে দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ দেন সাঈদ ইসলাম। এ কার্যক্রমে যুক্ত হতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সঙ্গেও কাজ করছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্ত সোর্স ব্যবহারের মাধ্যমেও যে দারুণ কিছু করা যায় এবং বিষয়টিকে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়, সে ধারণা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
এগিয়ে যাচ্ছি আমরা
প্রযুুক্তি যখন হাতের মুঠোয়, তখন দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো দারুণ কিছু করা যায়। এ কাজের ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং বড় একটি মাধ্যম। এতে যুক্ত হয়ে আপনি নিজের দক্ষতা প্রকাশের পাশাপাশি গড়তে পারেন নিজের পেশাজীবন।
ওডেস্ক ও আউটসোর্সিং
আউটসোর্সিং কাজ দেওয়া-নেওয়ার জনপ্রিয় জায়গা হলো ওডেস্ক। বিভিন্ন মার্কেট প্লেসের মধ্যে ওডেস্কের অবস্থান শীর্ষে। ২০০৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। ইন্টারনেটভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান মূলত পেশাজীবী ও কাজদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়। নির্দিষ্ট কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, যার পুরো ব্যাপারই সম্পন্ন হয় অনলাইনে ওডেস্কের ওয়েবসাইটে। এর বাইরে ওয়েবসাইটটি নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন। ‘কনট্রাক্টর অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ নামের এ আয়োজন বাংলাদেশেও হয়েছে।
দক্ষদের তালিকায় বাংলাদেশিরা
সম্প্রতি ওডেস্কের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কাজে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের একটি তালিকা করে। এতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস, লেখালেখিও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহযোগিতা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা, বিক্রয় ও বিপণন এবংব্যবসায় সেবা বিভাগে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনটিতে শীর্ষে সাঈদ ইসলাম
ওডেস্কের প্রকাশিত সেরা দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিষয়ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সারদের তালিকায় গ্লোবালাইজেশন বিভাগের তিনটিতে শীর্ষে আছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার সাঈদ ইসলাম। এর মধ্যে নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের লিনাক্স এবং অ্যাসটারিস্ক ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভিওআইপিতে শীর্ষে আছেন তিনি। ওডেস্কে তিন হাজার ৪০০ ঘণ্টার বেশি কাজ করা সাঈদ ইসলাম ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওডেস্কে কাজ শুরুর পরই এপ্রিল মাসে তিনি ওডেস্কের স্পট লাইট কনট্রাক্টর তালিকায় জায়গা করে নেন। তিনটি বিভাগে শীর্ষে থাকার পাশাপাশি এটুবিলিংয়ে ও ফ্রিপিবিএক্সে দ্বিতীয়, ট্রিক্সবক্স ও জিমব্রাতে পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি। ছোটবেলা থেকে কারিগরি বিষয়ে কৌতূহলী সাঈদ ইসলাম কানাডায় ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য বন্ধুদের দ্বারস্থ হতেন। ২০০১ সালে টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসেবে কম্পিউটার পেশাজীবন শুরু। এর মধ্যে নানা ধরনের কাজের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। যার মধ্যে লিনাক্স, ভিওআইপি ও টেলিফোন বিলিং সিস্টেম অন্যতম। ২০০৩ সালে বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানের পর প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের অনুরোধে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন। যেখানে টিডিএম সুইচ, সিসকো নেটওয়ার্কিং ও অ্যাডভান্স বিলিং শেখেন। সাঈদ ইসলাম বলেন, ‘বিদেশে থাকলেও দেশের প্রতি টান ছি।আমিসহ ছয়জন মিলে২০০৬ সালে ঢাকায় আমরা গড়ে তুলি একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, যা আমি কানাডা থেকে নিয়ন্ত্রণ করতাম। বিক্রয় ও বিপণন হতো কানাডা থেকে। এরপর চলেআসি বাংলাদেশে। ২০০৯ সালে পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কানাডার একটি অনলাইন গেমস প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক হিসেবে কাজ করি বাংলাদেশ থেকেই। দেড় বছরের এ সেবা শেষে প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে কানাডা গিয়ে নিজেদের অফিসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। আমি সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে দেশেই কাজ শুরু করি।’
২০১০ সালে ওডেস্কে যোগ দেন সাঈদ ইসলাম। এর মাঝে বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল থেকে সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরির সুযোগ পান তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ সুযোগ পাওয়ার পর দেশের পাশাপাশি ভারতে কাজ করার সুযোগ চেয়ে জানতে পারি, সেখানে গুগলের এ অফিস কার্যক্রম নেই। তাই আমার আর এ পদে যোগ দেওয়া হয়নি।’
মুক্ত সোর্স প্রযুক্তিকে দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ দেন সাঈদ ইসলাম। এ কার্যক্রমে যুক্ত হতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সঙ্গেও কাজ করছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্ত সোর্স ব্যবহারের মাধ্যমেও যে দারুণ কিছু করা যায় এবং বিষয়টিকে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়, সে ধারণা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
এগিয়ে যাচ্ছি আমরা
প্রযুুক্তি যখন হাতের মুঠোয়, তখন দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো দারুণ কিছু করা যায়। এ কাজের ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং বড় একটি মাধ্যম। এতে যুক্ত হয়ে আপনি নিজের দক্ষতা প্রকাশের পাশাপাশি গড়তে পারেন নিজের পেশাজীবন।
আউটসোর্সিং
সেরা তালিকায় বাংলাদেশ:sনুরুন্নবী চৌধুরী | তারিখ: ০৭-০৯-২০১২
সাঈদ ইসলাম, ওডেস্ক প্রকাশিত দক্ষ পেশাজীবীদের তালিকার তিনটি বিভাগে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন
ছবি: খালেদ সরকার
ধীরে ধীরে অনলাইন আউটসোর্সিংয়ের কাজে যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের মুক্ত পেশাজীবীরা (ফ্রিল্যান্সার) এবার নিজেদের দক্ষতার মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছেন শীর্ষ তালিকায়। প্রতিনিয়ত নানা কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের নানান কাজের সঙ্গে যুক্তও করছেন অনেকে। একটা সময় নির্দিষ্ট কিছু কাজের গণ্ডিতে থাকলেও এখন আর সেটি নেই। আউটসোর্সিং কাজের বিভিন্ন খাতে পদচারণ বাড়ছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যন্সারদের এবং সফলতাও আসছে। আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা গ্লোবাল মার্কেট প্লেস ওডেস্ক (www.odesk.com) বিভিন্ন কাজে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা।
ওডেস্ক ও আউটসোর্সিং
আউটসোর্সিং কাজ দেওয়া-নেওয়ার জনপ্রিয় জায়গা হলো ওডেস্ক। বিভিন্ন মার্কেট প্লেসের মধ্যে ওডেস্কের অবস্থান শীর্ষে। ২০০৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। ইন্টারনেটভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান মূলত পেশাজীবী ও কাজদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়। নির্দিষ্ট কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, যার পুরো ব্যাপারই সম্পন্ন হয় অনলাইনে ওডেস্কের ওয়েবসাইটে। এর বাইরে ওয়েবসাইটটি নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন। ‘কনট্রাক্টর অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ নামের এ আয়োজন বাংলাদেশেও হয়েছে।
দক্ষদের তালিকায় বাংলাদেশিরা
সম্প্রতি ওডেস্কের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কাজে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের একটি তালিকা করে। এতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস, লেখালেখিও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহযোগিতা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা, বিক্রয় ও বিপণন এবংব্যবসায় সেবা বিভাগে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনটিতে শীর্ষে সাঈদ ইসলাম
ওডেস্কের প্রকাশিত সেরা দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিষয়ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সারদের তালিকায় গ্লোবালাইজেশন বিভাগের তিনটিতে শীর্ষে আছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার সাঈদ ইসলাম। এর মধ্যে নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের লিনাক্স এবং অ্যাসটারিস্ক ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভিওআইপিতে শীর্ষে আছেন তিনি। ওডেস্কে তিন হাজার ৪০০ ঘণ্টার বেশি কাজ করা সাঈদ ইসলাম ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওডেস্কে কাজ শুরুর পরই এপ্রিল মাসে তিনি ওডেস্কের স্পট লাইট কনট্রাক্টর তালিকায় জায়গা করে নেন। তিনটি বিভাগে শীর্ষে থাকার পাশাপাশি এটুবিলিংয়ে ও ফ্রিপিবিএক্সে দ্বিতীয়, ট্রিক্সবক্স ও জিমব্রাতে পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি। ছোটবেলা থেকে কারিগরি বিষয়ে কৌতূহলী সাঈদ ইসলাম কানাডায় ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য বন্ধুদের দ্বারস্থ হতেন। ২০০১ সালে টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসেবে কম্পিউটার পেশাজীবন শুরু। এর মধ্যে নানা ধরনের কাজের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। যার মধ্যে লিনাক্স, ভিওআইপি ও টেলিফোন বিলিং সিস্টেম অন্যতম। ২০০৩ সালে বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানের পর প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের অনুরোধে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন। যেখানে টিডিএম সুইচ, সিসকো নেটওয়ার্কিং ও অ্যাডভান্স বিলিং শেখেন। সাঈদ ইসলাম বলেন, ‘বিদেশে থাকলেও দেশের প্রতি টান ছি।আমিসহ ছয়জন মিলে২০০৬ সালে ঢাকায় আমরা গড়ে তুলি একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, যা আমি কানাডা থেকে নিয়ন্ত্রণ করতাম। বিক্রয় ও বিপণন হতো কানাডা থেকে। এরপর চলেআসি বাংলাদেশে। ২০০৯ সালে পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কানাডার একটি অনলাইন গেমস প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক হিসেবে কাজ করি বাংলাদেশ থেকেই। দেড় বছরের এ সেবা শেষে প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে কানাডা গিয়ে নিজেদের অফিসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। আমি সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে দেশেই কাজ শুরু করি।’
২০১০ সালে ওডেস্কে যোগ দেন সাঈদ ইসলাম। এর মাঝে বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল থেকে সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরির সুযোগ পান তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ সুযোগ পাওয়ার পর দেশের পাশাপাশি ভারতে কাজ করার সুযোগ চেয়ে জানতে পারি, সেখানে গুগলের এ অফিস কার্যক্রম নেই। তাই আমার আর এ পদে যোগ দেওয়া হয়নি।’
মুক্ত সোর্স প্রযুক্তিকে দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ দেন সাঈদ ইসলাম। এ কার্যক্রমে যুক্ত হতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সঙ্গেও কাজ করছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্ত সোর্স ব্যবহারের মাধ্যমেও যে দারুণ কিছু করা যায় এবং বিষয়টিকে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়, সে ধারণা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
এগিয়ে যাচ্ছি আমরা
প্রযুুক্তি যখন হাতের মুঠোয়, তখন দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো দারুণ কিছু করা যায়। এ কাজের ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং বড় একটি মাধ্যম। এতে যুক্ত হয়ে আপনি নিজের দক্ষতা প্রকাশের পাশাপাশি গড়তে পারেন নিজের পেশাজীবন।
ওডেস্ক ও আউটসোর্সিং
আউটসোর্সিং কাজ দেওয়া-নেওয়ার জনপ্রিয় জায়গা হলো ওডেস্ক। বিভিন্ন মার্কেট প্লেসের মধ্যে ওডেস্কের অবস্থান শীর্ষে। ২০০৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। ইন্টারনেটভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান মূলত পেশাজীবী ও কাজদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়। নির্দিষ্ট কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, যার পুরো ব্যাপারই সম্পন্ন হয় অনলাইনে ওডেস্কের ওয়েবসাইটে। এর বাইরে ওয়েবসাইটটি নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন। ‘কনট্রাক্টর অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ নামের এ আয়োজন বাংলাদেশেও হয়েছে।
দক্ষদের তালিকায় বাংলাদেশিরা
সম্প্রতি ওডেস্কের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কাজে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের একটি তালিকা করে। এতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস, লেখালেখিও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহযোগিতা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা, বিক্রয় ও বিপণন এবংব্যবসায় সেবা বিভাগে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনটিতে শীর্ষে সাঈদ ইসলাম
ওডেস্কের প্রকাশিত সেরা দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিষয়ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সারদের তালিকায় গ্লোবালাইজেশন বিভাগের তিনটিতে শীর্ষে আছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার সাঈদ ইসলাম। এর মধ্যে নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের লিনাক্স এবং অ্যাসটারিস্ক ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভিওআইপিতে শীর্ষে আছেন তিনি। ওডেস্কে তিন হাজার ৪০০ ঘণ্টার বেশি কাজ করা সাঈদ ইসলাম ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওডেস্কে কাজ শুরুর পরই এপ্রিল মাসে তিনি ওডেস্কের স্পট লাইট কনট্রাক্টর তালিকায় জায়গা করে নেন। তিনটি বিভাগে শীর্ষে থাকার পাশাপাশি এটুবিলিংয়ে ও ফ্রিপিবিএক্সে দ্বিতীয়, ট্রিক্সবক্স ও জিমব্রাতে পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি। ছোটবেলা থেকে কারিগরি বিষয়ে কৌতূহলী সাঈদ ইসলাম কানাডায় ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য বন্ধুদের দ্বারস্থ হতেন। ২০০১ সালে টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসেবে কম্পিউটার পেশাজীবন শুরু। এর মধ্যে নানা ধরনের কাজের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। যার মধ্যে লিনাক্স, ভিওআইপি ও টেলিফোন বিলিং সিস্টেম অন্যতম। ২০০৩ সালে বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানের পর প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের অনুরোধে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন। যেখানে টিডিএম সুইচ, সিসকো নেটওয়ার্কিং ও অ্যাডভান্স বিলিং শেখেন। সাঈদ ইসলাম বলেন, ‘বিদেশে থাকলেও দেশের প্রতি টান ছি।আমিসহ ছয়জন মিলে২০০৬ সালে ঢাকায় আমরা গড়ে তুলি একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, যা আমি কানাডা থেকে নিয়ন্ত্রণ করতাম। বিক্রয় ও বিপণন হতো কানাডা থেকে। এরপর চলেআসি বাংলাদেশে। ২০০৯ সালে পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কানাডার একটি অনলাইন গেমস প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক হিসেবে কাজ করি বাংলাদেশ থেকেই। দেড় বছরের এ সেবা শেষে প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে কানাডা গিয়ে নিজেদের অফিসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। আমি সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে দেশেই কাজ শুরু করি।’
২০১০ সালে ওডেস্কে যোগ দেন সাঈদ ইসলাম। এর মাঝে বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল থেকে সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরির সুযোগ পান তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ সুযোগ পাওয়ার পর দেশের পাশাপাশি ভারতে কাজ করার সুযোগ চেয়ে জানতে পারি, সেখানে গুগলের এ অফিস কার্যক্রম নেই। তাই আমার আর এ পদে যোগ দেওয়া হয়নি।’
মুক্ত সোর্স প্রযুক্তিকে দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ দেন সাঈদ ইসলাম। এ কার্যক্রমে যুক্ত হতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সঙ্গেও কাজ করছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্ত সোর্স ব্যবহারের মাধ্যমেও যে দারুণ কিছু করা যায় এবং বিষয়টিকে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়, সে ধারণা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
এগিয়ে যাচ্ছি আমরা
প্রযুুক্তি যখন হাতের মুঠোয়, তখন দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো দারুণ কিছু করা যায়। এ কাজের ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং বড় একটি মাধ্যম। এতে যুক্ত হয়ে আপনি নিজের দক্ষতা প্রকাশের পাশাপাশি গড়তে পারেন নিজের পেশাজীবন।
Wednesday, September 5, 2012
কীভাবে হবেন সফল ফ্রিল্যান্সার
কীভাবে হবেন সফল ফ্রিল্যান্সার
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কী?
প্রথমেই দেখে নেয়া যাক আউটসোর্সিং এবং অফশোর আউটসোর্সিং (Offshore Outsourcing) কী এবং কেন করা হয়। আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে পণ্যের শুধু ডিজাইন করা অথবা সম্পূর্ণ উত্পাদন অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে নেয়া। আউটসোর্সিংয়ের সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয়া হয় উত্পাদন খরচ কমানোর জন্য। অনেক সময় পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। অন্যদিকে অফশোর আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজ দেশে সম্পন্ন না করে ভিন্ন দেশ থেকে করিয়ে আনা। প্রধানত ইউরোপ এবং আমেরিকার ধনী দেশগুলো অফশোর আউটসোর্সিং করে থাকে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো (যেমন, ডাটা প্রসেসিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া, টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইত্যাদি) অফশোর আউটসোর্সিং করা হয়। যেসব দেশ এ ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারত, ইউক্রেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপাইন, রাশিয়া, পাকিস্তান, পানামা, নেপাল, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, মালয়েশিয়া, মিসর এবং আরও অনেক দেশ।
ফ্রিল্যান্সিং কী?
এবার দেখে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং (ঋত্ববষধহপরহম) কী এবং কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সারের রয়েছে কাজের ধরন নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার সীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এখন একটি নির্দিষ্ট স্থানের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত নয়। আপনার সঙ্গে যদি থাকে একটি কম্পিউটার আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ তাহলে যে কোনো জায়গায় বসেই আপনি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের কাজগুলো করতে পারেন। হতে পারে তা ওয়েবসাইট তৈরি, থ্রিডি এনিমেশন, ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্ট্রি বা শুধু লেখালেখি করা।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আউটসোর্সিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এসব সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে দুই ধরনের ব্যবহারকারী থাকে। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Freelancer, Provider, Seller অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে Coder. একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সার আবেদন করে, যাকে বলা হয় বিড (Bid) করা। বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সার মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচন করে থাকে। ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে এস্ক্রো (Escrow) নামক একটি একাউন্টে জমা করে দেয়, যা কাজ শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। কাজ শেষ হওয়ার পর ফ্রিল্যান্সারকে সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি ওই সাইটে জমা দিতে হয়। এরপর ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাজটি যাচাই করে দেখে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্লায়েন্ট তখন সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহণ করে। সঙ্গে সঙ্গে এস্ক্রো থেকে অর্থ ওই সাইটে ফ্রিল্যান্সারের অ্যাকাউন্টে এসে জমা হয়। সম্পূর্ণ সার্ভিসের জন্য এ সময় ফ্রিল্যান্সারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ (১০% বা ১৫%) ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়। এরপর মাস শেষে সাইটটি ফ্রিল্যান্সারের আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন পদ্ধতিতে তার কাছে প্রেরণ করে।
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়। এগুলো থেকে যে কোনো একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এক কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Provider বা Coder. একটি কাজের জন্য অসংখ্য কোডাররা বিড বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তাও উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় কোডারের মন্তব্য কোডার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোডার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য কোডারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি হিসেবে দিতে হয়। এ পরিমাণ ওয়েবসাইট এবং কাজের ধরনভেদে ভিন্ন ভিন্ন (১০% থেকে ১৫%)।
এই সাইটগুলোকে কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে:
http://www.oDesk.com
http://www.freelancer.com
http://www.RentACoder.com
http://www.GetAFreelancer.com
http://www.GetACoder.com
http://www.Scriptlance .com
http://www.Joomlancers.com
ইত্যাদি।
অনলাইনে কাজের প্রকারভেদ
অনলাইনে প্রায় সব ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে, তা কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোনো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী নন, তাহলে ডাটা এন্ট্রির মতো কাজগুলো সহজেই করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রায় সব ধরনের কাজ পাওয়া যায়। প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিক ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া থেকে শুরু করে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অথবা কোনো ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা—কী নেই সাইটগুলোতে? অনলাইনে কী কী ধরনের কাজ পাওয়া যায়, তা জানতে নিচের তথ্যগুলো লক্ষ্য করুন।
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত কাজগুলোকে দুই ভাগে ভাগ কারা যায় :
১. দক্ষ বা প্রফেশনাল হয়ে কাজ করা
২. কোনো ধরনের দক্ষতা ছাড়া কাজ করা
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইট http://www.GetACoder.com পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে এ পর্যন্ত যেসব প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রোগ্রামিং (৩৬.৯%) এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের (২৬.৮%) কাজগুলোই সবচেয়ে বেশি। তার পরবর্তী স্থানে রয়েছে গ্রাফিক্স/মাল্টিমিডিয়া (১২.৪%) এবং ডাটাবেইজের (১২.৩%) কাজগুলো।
প্রথমেই দেখে নেয়া যাক আউটসোর্সিং এবং অফশোর আউটসোর্সিং (Offshore Outsourcing) কী এবং কেন করা হয়। আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে পণ্যের শুধু ডিজাইন করা অথবা সম্পূর্ণ উত্পাদন অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে নেয়া। আউটসোর্সিংয়ের সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয়া হয় উত্পাদন খরচ কমানোর জন্য। অনেক সময় পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। অন্যদিকে অফশোর আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজ দেশে সম্পন্ন না করে ভিন্ন দেশ থেকে করিয়ে আনা। প্রধানত ইউরোপ এবং আমেরিকার ধনী দেশগুলো অফশোর আউটসোর্সিং করে থাকে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো (যেমন, ডাটা প্রসেসিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া, টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইত্যাদি) অফশোর আউটসোর্সিং করা হয়। যেসব দেশ এ ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারত, ইউক্রেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপাইন, রাশিয়া, পাকিস্তান, পানামা, নেপাল, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, মালয়েশিয়া, মিসর এবং আরও অনেক দেশ।
ফ্রিল্যান্সিং কী?
এবার দেখে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং (ঋত্ববষধহপরহম) কী এবং কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সারের রয়েছে কাজের ধরন নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার সীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এখন একটি নির্দিষ্ট স্থানের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত নয়। আপনার সঙ্গে যদি থাকে একটি কম্পিউটার আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ তাহলে যে কোনো জায়গায় বসেই আপনি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের কাজগুলো করতে পারেন। হতে পারে তা ওয়েবসাইট তৈরি, থ্রিডি এনিমেশন, ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্ট্রি বা শুধু লেখালেখি করা।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আউটসোর্সিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এসব সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে দুই ধরনের ব্যবহারকারী থাকে। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Freelancer, Provider, Seller অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে Coder. একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সার আবেদন করে, যাকে বলা হয় বিড (Bid) করা। বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সার মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচন করে থাকে। ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে এস্ক্রো (Escrow) নামক একটি একাউন্টে জমা করে দেয়, যা কাজ শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। কাজ শেষ হওয়ার পর ফ্রিল্যান্সারকে সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি ওই সাইটে জমা দিতে হয়। এরপর ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাজটি যাচাই করে দেখে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্লায়েন্ট তখন সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহণ করে। সঙ্গে সঙ্গে এস্ক্রো থেকে অর্থ ওই সাইটে ফ্রিল্যান্সারের অ্যাকাউন্টে এসে জমা হয়। সম্পূর্ণ সার্ভিসের জন্য এ সময় ফ্রিল্যান্সারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ (১০% বা ১৫%) ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়। এরপর মাস শেষে সাইটটি ফ্রিল্যান্সারের আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন পদ্ধতিতে তার কাছে প্রেরণ করে।
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়। এগুলো থেকে যে কোনো একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এক কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Provider বা Coder. একটি কাজের জন্য অসংখ্য কোডাররা বিড বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তাও উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় কোডারের মন্তব্য কোডার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোডার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য কোডারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি হিসেবে দিতে হয়। এ পরিমাণ ওয়েবসাইট এবং কাজের ধরনভেদে ভিন্ন ভিন্ন (১০% থেকে ১৫%)।
এই সাইটগুলোকে কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে:
http://www.oDesk.com
http://www.freelancer.com
http://www.RentACoder.com
http://www.GetAFreelancer.com
http://www.GetACoder.com
http://www.Scriptlance .com
http://www.Joomlancers.com
ইত্যাদি।
অনলাইনে কাজের প্রকারভেদ
অনলাইনে প্রায় সব ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে, তা কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোনো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী নন, তাহলে ডাটা এন্ট্রির মতো কাজগুলো সহজেই করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রায় সব ধরনের কাজ পাওয়া যায়। প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিক ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া থেকে শুরু করে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অথবা কোনো ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা—কী নেই সাইটগুলোতে? অনলাইনে কী কী ধরনের কাজ পাওয়া যায়, তা জানতে নিচের তথ্যগুলো লক্ষ্য করুন।
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত কাজগুলোকে দুই ভাগে ভাগ কারা যায় :
১. দক্ষ বা প্রফেশনাল হয়ে কাজ করা
২. কোনো ধরনের দক্ষতা ছাড়া কাজ করা
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইট http://www.GetACoder.com পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে এ পর্যন্ত যেসব প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রোগ্রামিং (৩৬.৯%) এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের (২৬.৮%) কাজগুলোই সবচেয়ে বেশি। তার পরবর্তী স্থানে রয়েছে গ্রাফিক্স/মাল্টিমিডিয়া (১২.৪%) এবং ডাটাবেইজের (১২.৩%) কাজগুলো।
Saturday, September 1, 2012
Subscribe to:
Posts (Atom)