কীভাবে হবেন সফল ফ্রিল্যান্সার
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কী?
প্রথমেই দেখে নেয়া যাক আউটসোর্সিং এবং অফশোর আউটসোর্সিং (Offshore Outsourcing) কী এবং কেন করা হয়। আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে পণ্যের শুধু ডিজাইন করা অথবা সম্পূর্ণ উত্পাদন অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে নেয়া। আউটসোর্সিংয়ের সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয়া হয় উত্পাদন খরচ কমানোর জন্য। অনেক সময় পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। অন্যদিকে অফশোর আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজ দেশে সম্পন্ন না করে ভিন্ন দেশ থেকে করিয়ে আনা। প্রধানত ইউরোপ এবং আমেরিকার ধনী দেশগুলো অফশোর আউটসোর্সিং করে থাকে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো (যেমন, ডাটা প্রসেসিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া, টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইত্যাদি) অফশোর আউটসোর্সিং করা হয়। যেসব দেশ এ ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারত, ইউক্রেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপাইন, রাশিয়া, পাকিস্তান, পানামা, নেপাল, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, মালয়েশিয়া, মিসর এবং আরও অনেক দেশ।
ফ্রিল্যান্সিং কী?
এবার দেখে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং (ঋত্ববষধহপরহম) কী এবং কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সারের রয়েছে কাজের ধরন নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার সীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এখন একটি নির্দিষ্ট স্থানের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত নয়। আপনার সঙ্গে যদি থাকে একটি কম্পিউটার আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ তাহলে যে কোনো জায়গায় বসেই আপনি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের কাজগুলো করতে পারেন। হতে পারে তা ওয়েবসাইট তৈরি, থ্রিডি এনিমেশন, ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্ট্রি বা শুধু লেখালেখি করা।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আউটসোর্সিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এসব সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে দুই ধরনের ব্যবহারকারী থাকে। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Freelancer, Provider, Seller অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে Coder. একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সার আবেদন করে, যাকে বলা হয় বিড (Bid) করা। বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সার মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচন করে থাকে। ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে এস্ক্রো (Escrow) নামক একটি একাউন্টে জমা করে দেয়, যা কাজ শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। কাজ শেষ হওয়ার পর ফ্রিল্যান্সারকে সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি ওই সাইটে জমা দিতে হয়। এরপর ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাজটি যাচাই করে দেখে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্লায়েন্ট তখন সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহণ করে। সঙ্গে সঙ্গে এস্ক্রো থেকে অর্থ ওই সাইটে ফ্রিল্যান্সারের অ্যাকাউন্টে এসে জমা হয়। সম্পূর্ণ সার্ভিসের জন্য এ সময় ফ্রিল্যান্সারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ (১০% বা ১৫%) ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়। এরপর মাস শেষে সাইটটি ফ্রিল্যান্সারের আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন পদ্ধতিতে তার কাছে প্রেরণ করে।
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়। এগুলো থেকে যে কোনো একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এক কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Provider বা Coder. একটি কাজের জন্য অসংখ্য কোডাররা বিড বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তাও উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় কোডারের মন্তব্য কোডার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোডার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য কোডারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি হিসেবে দিতে হয়। এ পরিমাণ ওয়েবসাইট এবং কাজের ধরনভেদে ভিন্ন ভিন্ন (১০% থেকে ১৫%)।
এই সাইটগুলোকে কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে:
http://www.oDesk.com
http://www.freelancer.com
http://www.RentACoder.com
http://www.GetAFreelancer.com
http://www.GetACoder.com
http://www.Scriptlance .com
http://www.Joomlancers.com
ইত্যাদি।
অনলাইনে কাজের প্রকারভেদ
অনলাইনে প্রায় সব ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে, তা কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোনো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী নন, তাহলে ডাটা এন্ট্রির মতো কাজগুলো সহজেই করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রায় সব ধরনের কাজ পাওয়া যায়। প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিক ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া থেকে শুরু করে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অথবা কোনো ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা—কী নেই সাইটগুলোতে? অনলাইনে কী কী ধরনের কাজ পাওয়া যায়, তা জানতে নিচের তথ্যগুলো লক্ষ্য করুন।
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত কাজগুলোকে দুই ভাগে ভাগ কারা যায় :
১. দক্ষ বা প্রফেশনাল হয়ে কাজ করা
২. কোনো ধরনের দক্ষতা ছাড়া কাজ করা
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইট http://www.GetACoder.com পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে এ পর্যন্ত যেসব প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রোগ্রামিং (৩৬.৯%) এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের (২৬.৮%) কাজগুলোই সবচেয়ে বেশি। তার পরবর্তী স্থানে রয়েছে গ্রাফিক্স/মাল্টিমিডিয়া (১২.৪%) এবং ডাটাবেইজের (১২.৩%) কাজগুলো।
প্রথমেই দেখে নেয়া যাক আউটসোর্সিং এবং অফশোর আউটসোর্সিং (Offshore Outsourcing) কী এবং কেন করা হয়। আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে পণ্যের শুধু ডিজাইন করা অথবা সম্পূর্ণ উত্পাদন অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে নেয়া। আউটসোর্সিংয়ের সিদ্ধান্ত সাধারণত নেয়া হয় উত্পাদন খরচ কমানোর জন্য। অনেক সময় পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও আউটসোর্সিং করা হয়। অন্যদিকে অফশোর আউটসোর্সিং হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজ দেশে সম্পন্ন না করে ভিন্ন দেশ থেকে করিয়ে আনা। প্রধানত ইউরোপ এবং আমেরিকার ধনী দেশগুলো অফশোর আউটসোর্সিং করে থাকে, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো (যেমন, ডাটা প্রসেসিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া, টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইত্যাদি) অফশোর আউটসোর্সিং করা হয়। যেসব দেশ এ ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারত, ইউক্রেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপাইন, রাশিয়া, পাকিস্তান, পানামা, নেপাল, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, মালয়েশিয়া, মিসর এবং আরও অনেক দেশ।
ফ্রিল্যান্সিং কী?
এবার দেখে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং (ঋত্ববষধহপরহম) কী এবং কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) হওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সারের রয়েছে কাজের ধরন নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার সীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের কল্যাণে ফ্রিল্যান্সিং এখন একটি নির্দিষ্ট স্থানের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত নয়। আপনার সঙ্গে যদি থাকে একটি কম্পিউটার আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ তাহলে যে কোনো জায়গায় বসেই আপনি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের কাজগুলো করতে পারেন। হতে পারে তা ওয়েবসাইট তৈরি, থ্রিডি এনিমেশন, ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্ট্রি বা শুধু লেখালেখি করা।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আউটসোর্সিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এসব সাইটকে বলা হয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে দুই ধরনের ব্যবহারকারী থাকে। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Freelancer, Provider, Seller অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে Coder. একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সার আবেদন করে, যাকে বলা হয় বিড (Bid) করা। বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় ফ্রিল্যান্সার মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারকে নির্বাচন করে থাকে। ফ্রিল্যান্সার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট প্রজেক্টের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে এস্ক্রো (Escrow) নামক একটি একাউন্টে জমা করে দেয়, যা কাজ শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিল্যান্সারের পাওনা পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। কাজ শেষ হওয়ার পর ফ্রিল্যান্সারকে সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি ওই সাইটে জমা দিতে হয়। এরপর ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাজটি যাচাই করে দেখে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্লায়েন্ট তখন সাইটে একটি বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহণ করে। সঙ্গে সঙ্গে এস্ক্রো থেকে অর্থ ওই সাইটে ফ্রিল্যান্সারের অ্যাকাউন্টে এসে জমা হয়। সম্পূর্ণ সার্ভিসের জন্য এ সময় ফ্রিল্যান্সারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ (১০% বা ১৫%) ওই সাইটকে ফি বা কমিশন হিসেবে দিতে হয়। এরপর মাস শেষে সাইটটি ফ্রিল্যান্সারের আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন পদ্ধতিতে তার কাছে প্রেরণ করে।
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
ইন্টারনেটে অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়। এগুলো থেকে যে কোনো একটিতে রেজিস্ট্রিশনের মাধ্যমে আপনি শুরু করতে পারেন। এসব ওয়েবসাইটে যারা কাজ জমা দেয় তাদেরকে বলা হয় Buyer বা Client এবং যারা এক কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় Provider বা Coder. একটি কাজের জন্য অসংখ্য কোডাররা বিড বা আবেদন করে এবং ওই কাজটি কত টাকায় সম্পন্ন করতে পারবে তাও উল্লেখ করে। এদের মধ্য থেকে ক্লায়েন্ট যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। সাধারণত পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা, টাকার পরিমাণ এবং বিড করার সময় কোডারের মন্তব্য কোডার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোডার নির্বাচন করার পর ক্লায়েন্ট কাজের সম্পূর্ণ টাকা ওই সাইটগুলোতে জমা করে দেয়। এর মাধ্যমে কাজ শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। পুরো সার্ভিসের জন্য কোডারকে কাজের একটা নির্দিষ্ট অংশ ওই সাইটকে ফি হিসেবে দিতে হয়। এ পরিমাণ ওয়েবসাইট এবং কাজের ধরনভেদে ভিন্ন ভিন্ন (১০% থেকে ১৫%)।
এই সাইটগুলোকে কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে:
http://www.oDesk.com
http://www.freelancer.com
http://www.RentACoder.com
http://www.GetAFreelancer.com
http://www.GetACoder.com
http://www.Scriptlance .com
http://www.Joomlancers.com
ইত্যাদি।
অনলাইনে কাজের প্রকারভেদ
অনলাইনে প্রায় সব ধরনের কাজ করা যায়। আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকধারী হতে হবে, তা কিন্তু নয়। আর আপনি যদি মনে করেন কোনো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ পারদর্শী নন, তাহলে ডাটা এন্ট্রির মতো কাজগুলো সহজেই করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রায় সব ধরনের কাজ পাওয়া যায়। প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিক ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া থেকে শুরু করে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অথবা কোনো ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা—কী নেই সাইটগুলোতে? অনলাইনে কী কী ধরনের কাজ পাওয়া যায়, তা জানতে নিচের তথ্যগুলো লক্ষ্য করুন।
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত কাজগুলোকে দুই ভাগে ভাগ কারা যায় :
১. দক্ষ বা প্রফেশনাল হয়ে কাজ করা
২. কোনো ধরনের দক্ষতা ছাড়া কাজ করা
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইট http://www.GetACoder.com পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে এ পর্যন্ত যেসব প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রোগ্রামিং (৩৬.৯%) এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের (২৬.৮%) কাজগুলোই সবচেয়ে বেশি। তার পরবর্তী স্থানে রয়েছে গ্রাফিক্স/মাল্টিমিডিয়া (১২.৪%) এবং ডাটাবেইজের (১২.৩%) কাজগুলো।
No comments:
Post a Comment