Translate

Wednesday, August 15, 2012

ফেসবুকে স্বপ্নযুবকের সঙ্গে প্রেম স্বামী-সন্তান ফেলে পালিয়েছেন অঞ্জু


প্রিন্ট করুন     |   ShareThis | 2 মন্তব্য
ফেসবুকে স্বপ্নযুবকের সঙ্গে প্রেম স্বামী-সন্তান ফেলে পালিয়েছেন অঞ্জু
সোমবার, ১৩ আগস্ট ২০১২
মানবজমিন ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক যেমন নতুন নতুন সম্পর্ক গড়ে দিচ্ছে তেমনই ভেঙে দিচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কও। ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক ভাঙাগড়ার এক ঘটনা তুলে ধরেছে গালফ নিউজ। নিজের স্বামী ও দুই সন্তানকে রেখে ফেসবুকে চ্যাটের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হওয়া নতুন বয়ফ্রেন্ডের কাছে পালিয়ে গেছেন বিহারের অঞ্জু দেবী। শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ির কারও সঙ্গে কোন যোগাযোগ না করে লুকিয়ে লিভ টুগেদার করে আসছিলেন তারা। অঞ্জু পালানের পর কোন খোঁজ না পেয়ে তার পিতা তার শ্বশুরপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। তার সন্দেহ ছিল বিহারের সাধারণ চিত্রের মতোই তারা হয়তো যৌতুকের দাবিতে অঞ্জুকে হত্যা করে থাকবে। কিন্তু পুলিশ যখন দেখেছে পালিয়ে যাওয়া অঞ্জুর শিক্ষক স্বামীর এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা হচ্ছে তখনই সন্দেহ হয় তাদের। তারপর মোবাইল কলের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ তাকে ও তার বয়ফ্রেন্ড কৃষ্ণ রামরাওকে বৃহস্পতিবার হায়দারাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে। তারপরেই এ ঘটনা আলোচনায় আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অঞ্জু জানিয়েছেন, তিনি গ্রামের একজন শিক্ষককে বিয়ে করেছেন। তবে গ্রাম্য জীবন তার পছন্দ নয়। শহরের আধুনিক জীবন ভালবাসেন তিনি। ফলে আধুনিক লাইফস্টাইল উপভোগ করার জন্য ও শহরে বসবাস করার জন্য তিনি পালিয়েছেন। অঞ্জু নিজেও একজন শিক্ষক এবং ২০০২ সালে তাদের বিয়ে হয়। শহরে থাকার জন্য নিজের চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন। তারপরই হায়দারাবাদের ডিভোর্সি যুবক কৃষ্ণের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তার। অঞ্জু তাকে তার ‘স্বপ্নযুবক’ হিসেবে বেছে নেন, যে একটি বড় শহরে বাস করে। যার মাধ্যমে মেগাসিটিতে বাস করার তার স্বপ্ন পূরণ হবে বলে ধরে নেন তিনি। তারপর যখন তাদের বন্ধুত্ব পূর্ণ ভালবাসায় রূপ নেয় তখনই স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। এ বছরের ১লা জানুয়ারি বিহারের পাটনা জংশন থেকে তাকে নিয়ে যান কৃষ্ণ। তারপর থেকেই স্বপ্নের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে  বাস করে আসছেন অঞ্জু।
তারপর গোপনে পুলিশ এসে ধরে জেলে দেয়ার আগ পর্যন্ত তারা আধুনিক লাইফ স্টাইলে জীবনযাপন করে আসছিলেন। পুলিশের হেফাজতে অঞ্জু তার সাবেক স্বামী সন্তানের কাছে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছেন। ফলে তার স্বামী মনোজও তাকে নিয়ে ঘর না করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সে মুক্ত মনের নারী, যে গ্রামকে ঘৃণা করে। ফলে তার সঙ্গে থাকার চিন্তা করা যায় না। ডিভোর্সই হবে সবচেয়ে ভাল উপায়। মনোজ বলেছেন, স্ত্রীর শহরে থাকার ইচ্ছাকে সম্মান করে তিনি পাটনা শহরে প্লট কিনেছেন। কিন্তু সব আশা এখন শেষ।
এই দুর্ভাগ্যজনক স্মৃতি কখনও ভুলবেন না তিনি। তবে পুলিশ ভাবছে এখন তার সাত ও চার বছর বয়সী দু’সন্তানের দেখাশোনা কে করবে।

No comments:

Post a Comment