Translate

Sunday, August 19, 2012

পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার


পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার
নুপা আলম, জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার: প্রতিবছর ঈদে একটা লম্বা ছুটি মেলে অনেকেরই। আর এ ছুটির অবসর কাটাতে অনেকেই পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ছুটে আসেন কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। প্রতিবারই কক্সবাজারে সমাবেশ হয় লাখো পর্যটকের।

অন্যবারের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় হবে এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এ জন্য পর্যটন এলাকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সাজানো হয়েছে নানা সাজে।

হোটেল-মোটেলের পুরনো জিনিসপত্র পরিবর্তন করা হয়েছে। দেওয়ালের পুরনো আঁস্তর তুলে লাগানো হয়েছে প্লাস্টিক পেইন্ট কিংবা ডিসটেম্পার। রেস্তোরাঁসমূহেও ধোয়ামোছা ও রঙে সাজানোর প্রতিযোগিতা শেষ। প্রশাসনের পক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর ঈদের লম্বা ছুটি কাটাতে অনেকেই এখন কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। অনেকেই রোববারের মধ্যেই কক্সবাজার চলে আসবেন, হোটেল ও মোটেল সূত্রে জানা গেছে। এগুলোর কক্ষ আর ফাঁকা নেই বললেই চলে। অগ্রিম বুকিং আর পর্যটকদের পদভারে কক্সবাজার জমজমাট হতে শুরু করেছে।

২০ আগস্ট ঈদ। ঈদকে কেন্দ্রে করে গত ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে সরকারি ছুটি। এ ছুটি বহাল থাকবে আগামী ২২ আগস্ট পর্যন্ত। ফলে, টানা ৮ দিনের ছুটির কবলে পড়েছে দেশ।

এ ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে পর্যটকদের আসা শুরু হয়েছে। ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক এখানে ঈদ উদযাপন করবেন এমনটা আশা করছেন হোটেল-মোটেল মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

আবাসিক হোটেল ম্যানেজার করিম উল্লাহ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, অতীতের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিবছর ঈদের ছুটিসহ নানা ছুটিতে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকের ভিড় হয় কক্সবাজারে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে রুম বুকিংও শেষ। সেই সঙ্গে সাজসজ্জার কাজও শেষ করে প্রস্তুত রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, সরেজমিন দেখা গেছে, হোটেল-মোটেল জোনের প্রায় সব হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউসের ধোয়ামোছা ও রং করার কাজ প্রায় শেষ। এখন পর্যটকদের  আসার অপেক্ষায় কক্সবাজার।

সৈকতের কিটকটেও (ছাতা-চেয়ার) লেগেছে বিভিন্ন রঙের ছোঁয়া।

পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা মহেশখালী, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, টেকনাফ সী-বিচ, সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকাগুলো সেজেছে নতুন করে।

কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেটগুলোতে নানা রকমের বাহারি বার্মিজ পণ্যের সমাহার নিয়ে দোকানিরা বসে আছেন পর্যটকদের আগমণের অপেক্ষায়।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোন গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সুলতান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, পর্যটক আসবে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতির কারণে তার উল্টোও হতে পারে।

পর্যটকরা যাতে কক্সবাজার এসে বিভিন্ন পর্যটন এলাকা যেমন, টেকনাফ, হিমছড়ি, ইনানী, সাফারি পার্কে সহজে ভ্রমণে যেতে পারেন, সেজন্য সরকারি উদ্যোগে দ্বিতল বিশিষ্ট বাস সার্ভিসের দাবি জানান তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, পর্যটন মৌসুমে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ পর্যটক কক্সবাজারে আসার কারণে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। এসময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নানাভাবে হয়রানি করা হয় তাদের।

এবিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. জয়নুল বারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘পর্যটক হয়রানি বন্ধে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁয় মূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হবে।’

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সজাগ থাকবে। পর্যটন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হবে।’

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১২
সম্পাদনা: আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

No comments:

Post a Comment